,


শিরোনাম:
«» ভুল তথ্যে সংবাদ প্রকাশ করায় এনবিআর সদস্য কায়কোবাদের প্রতিবাদ «» অনন্যা সাহা (স্বাতী) ৩২তম জন্মদিন। «» বৈষম্যবিরোধীদের ওপর অতর্কিত হামলা, আইসিইউতে ২ ছাত্রী «» হিন্দুদের সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলল ইউনুসের সরকার, বলল… «» নতুন আঙ্গিকে আরো সু-পরিসরে ব্রাদার্স ফার্নিচার লি: এর শো-রুম এখন বরিশাল «» উদ্যোক্তা হাটের ২০২৪ এওয়ার্ড প্রদান «» উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল ইসলামের অপসারণ ও পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন। «» ধর্মনিরপেক্ষতা খারিজের পক্ষে ইউনূস সরকার «» ভন্ডপীর সাঈদ আনোয়ার মোবারকী বাবুর বিরুদ্ধে মানববন্দন ও প্রতিবাদ সমাবেশ। «» গাইবান্ধায় ভুয়া প্রেসক্লাব খুলে কথিত সাংবাদিকরা হেনাস্তা করছে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ও ব্যবসায়ীদের

গাইবান্ধায় চায়না-৩ কমলা চাষে হালিমের জীবনে সফলতার হাওয়া বইছে

গাইবান্ধায় চায়না-৩ কমলা চাষে হালিমের জীবনে সফলতার হাওয়া বইছে:
মোহন সরকার:গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের বাল্যা গ্রামের মো. আব্দুস সামাদের ছেলে আব্দুল হালিম মিয়া(২৭)।
২০১৮ সালে বেকারত্ব থেকে মুক্তি ও পারিবারিক স্বচ্ছলতা আনতে বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিছু আবাদি জমি বিক্রি করে সেই টাকায় বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিলেও ভাগ্য সহায় ছিল না। ভিসা জটিলতা ও দালালের প্রতারণার শিকার হওয়ায় বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন ভেঙ্গে হতাশ হয়ে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন হালিম মিয়া।
এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে যায় করোনা ভাইরাসের মহামারী।অন্য সবার মতোই অনেকটা ঘরবন্দি অবস্থায় মোবাইল নিয়েই সময় কাটাতে বাধ্য হয়।ঘটনাক্রমে ইউটিউবে একদিন চায়না-৩ কমলা চাষের একটি ভিডিও দেখার পর বিষয়টা নিয়ে কথা বলেন বন্ধুর সঙ্গে।বন্ধুর উৎসাহ আর নিজের ইচ্ছায় চায়না-৩ কমলা চাষের সিদ্ধান্ত নেন।
২০১৯ সালে নিজস্ব পুকুরপাড়ে প্রায় তিন বিঘা জমিতে ২০০ টি চায়না-৩ রসালো মিস্টি জাতের কমলার চাড়া লাগিয়ে পরিচর্যা শুরু করেন তিনি।
অবশেষে ২০২২সালে তার পরিচর্যা ও পরিশ্রমের কমলা বাগানের গাছে গাছে সফলতার ফুল আসে।ফুল থেকে সবুজ ফল ধীরেধীরে পরিপক্ব হয়ে হলুদ-কমলা রঙে ভরে যায় বাগানের গাছগুলো।স্থানীয় ফল ব্যাবসায়ীদের কাছে বাগান থেকে সংগ্রহ করা পাকা কমলা বিক্রি করেন প্রায় ৩ লক্ষ টাকার।হাসি ফোটে হালিম মিয়া ও তার পরিবারের মুখে।
এবছর পাঁকতে শুরু করেছে হালিম মিয়ার বাগানের চায়না-৩ জাতের মিষ্টি,রসালো সুস্বাদু কমলালেবু।ইতিমধ্যেই বিক্রি করেছেন লক্ষাধিক টাকার ফল।বাগানের গাছে থাকা অবশিষ্ট কমলাগুলো ৪ চার লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
কমলা চাষি আব্দুল হালিম বলেন, বিদেশ যেতে না পেয়ে প্রথমে হতাশ হলেও ইচ্ছাশক্তির ফলে পরিশ্রমের মাধ্যমে এখন আমি একজন কমলাচাষী সফল উদ্দোক্তা।স্থানীয় কয়েকজনের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করতে পেরেছি।
কমলা পাহাড়ি ফল হলেও সমতলের এই এলাকার মাটিতেও ফলন ভালো।চায়না-৩ জাতের পাশাপাশি এখন তার বাগানে বারি-২, চায়না-খ্রি ও দার্জিলিং জাতের কমলা গাছ লাগিয়েছেন।
কমলা চাষি হালিম মিয়া জানান,বিভিন্ন এলাকা থেকে
প্রতিদিন তার বাগান দেখতে ভিড় করছে লোকজন এবং অনেকের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান,শুরুতে ফলন নিয়ে সংশয় ছিল কিন্তু গাছ ভর্তি পাকা কমলার ফলন বলে দেয় হালিমের সফলতা। এলাকার আরো অনেক আগ্রহীরা অনুপ্রাণিত হয়ে কমলা চাষের বিষয়ে হালিমের পরামর্শে কমলার চারা লাগাচ্ছে। বেকারত্ব কমছে এটা আমাদের এলাকার জন্যে ভালো।
এবিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ বলেন,আমাদের পরামর্শ ও পর্যবেক্ষণে কমলা চাষ করে হালিম যে সফলতা দেখিয়েছে তা প্রশংসিত। কৃষি বিভাগের জন্যে এটি বড় সাফল্য। কৃষি বিভাগ হালিমসহ আরও যারা কমলা চাষে এগিয়ে আসছে এমন কমলা চাষীদেরকে কৃষি বিভাগ থেকে তথ্য,প্রযুক্তিসহ সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
Share Button
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।
ঘোষনাঃ